Logoশরয়ী সমাধান
Cover image

প্রবন্ধ

রোযার আধুনিক কিছু মাসআলা

Hm Sulayman

৪ মার্চ, ২০২৫

রোযার আধুনিক কিছু মাসআলাঃরোযা রাখা অবস্থায় রক্ত দেয়ার দ্বারা রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তবে এ পরিমাণ রক্ত বের করা মাকরূহ, যার দ্বারা রোযাদার খুব দুর্বল হয়ে যায়।আমরা অনেক সময় ভুল ধারণা করি যে: রোযা রেখে স্যালাইন নিলে বোধহয় রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। ইনজেকশন,ভ্যাকসিন,ইনস্যুলিন ও স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙবে না, অবশ্য গ্লুকোজজাতীয় ইনজেকশন অর্থাৎ যেসব স্যালাইন ও ইনজেকশন খাদ্যের কাজ দেয়, রোজা অবস্থায় মারাত্মক অসুস্থতা ছাড়া নেওয়া নাজায়েজ।সালবিউটামল ও ইনহেলার ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। ওষুধটি যদিও স্প্রে করার সময় গ্যাসের মতো দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। অতএব মুখের অভ্যন্তরে স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তবে হ্যাঁ, মুখে স্প্রে করার পর না গিলে যদি থুতু দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে রোজা ভঙ্গ হবে না।কারো যদি শ্বাসকষ্ট এমন মারাত্মক আকার ধারণ করে যে ইনহেলার নেওয়া ছাড়া ইফতার পর্যন্ত অপেক্ষা করা দায় হয়ে পড়ে, তাহলে তাদের ক্ষেত্রে এই সুযোগ রয়েছে যে তারা প্রয়োজনভেদে ইনহেলার ব্যবহার করবে ও পরবর্তী সময় রোজা কাজা করে নেবে। আর কাজা করা সম্ভব না হলে ফিদিয়া আদায় করবে। আর যদি ইনহেলারের বিকল্প কোনো ইনজেকশন থাকে, তাহলে তখন ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করবে। কেননা রোজা অবস্থায় ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙবে না।রোজা অবস্থায় ওষুধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙবে না।চোখে ড্রপ, ওষুধ, সুরমা, মলম ইত্যাদি ব্যবহার করলে রোজা নষ্ট হবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় উপলব্ধি হয়। অনুরুপভাবে কানে ড্রপ নিলেও রোযা ভঙ্গ হবে না। তবে নাকে ড্রপ নিলে তা সরাসরি পাকস্থালীতে প্রবেশের সম্ভাবনা থাকে, যদি নাকে ড্রপ নিলে গলায় স্বাদ অনুভুত হয় তাহলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
বিস্তারিত পড়ুন

যেসমস্ত কারণে রোযা মাকরুহ হয়

Hm Sulayman

৪ মার্চ, ২০২৫

যেসমস্ত কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না, তবে মাকরুহ হয়ঃ কোনো প্রয়োজন ও কারণ ছাড়া কোনো কিছু চিবানো, তরকারি বা কোনো খাবারের স্বাদ আস্বাদন করা মাকরুহ। তবে স্বামী বদমেজাজি হলে স্ত্রীর জন্য মাকরুহ ছাড়াই তরকারির স্বাদ টেস্ট করা জায়েজ।রোজা রেখে মুখের ভেতর থুথু জমা করে গিলে ফেলা মাকরুহ।টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত মাজা মাকরুহ। আর পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজার সময় তা পেটে চলে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।মুখে গুল ব্যবহারে মাকরুহ হয় এবং থুতুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে গেলে রোজা ভেঙে যাবে।রোজা রেখে কারো গিবত করলে বা পরনিন্দা করলে রোজা মাকরুহ হয়।রোজা রেখে ঝগড়া-বিবাদ করলে রোজা মাকরুহ হবে। যৌন উদ্দীপক কিছু দেখা বা শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে। এতেও রোজা মাকরুহ হয় অনুরুপভাবে গান, সিনেমা দেখা ও তাতে মজে থাকলে রোজা মাকরুহ হয়।গোসল ফরজ থাকা অবস্থায় রমজানে সারা দিন শরীর নাপাক রাখলেও রোজা মাকরুহ হবে। পায়খানার রাস্তায় পানি দ্বারা এত বেশি ধৌত করা যে, ভেতরে পানি চলে যাওয়ার আশঙ্কা হয়, এটিও মাকরুহ।কামাসক্ত হওয়ার ভয় থাকলে স্ত্রীকে স্পর্শ করা, চুম্বন করা বা অনুরূপ কোনো স্বামী-স্ত্রীসুলভ আচরণ করা মাকরুহ।কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবানো মাকরুহ।বেশি ক্ষুধা বা পিপাসার কারণে অস্থিরতা প্রকাশ করা মাকরুহ।উপরোক্ত কারণে রোযা ভেঙ্গে যায় না, তবে মাকরুহ হয়।
বিস্তারিত পড়ুন

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহঃ যেসমস্ত কারণে রোযা ভঙ্গ হয় না

Hm Sulayman

২ মার্চ, ২০২৫

যেসমস্ত কারণে রোযা ভঙ্গ হয় নাঃ রোযা অবস্থায় ভুলে কোন কিছু পান করলে বা খেয়ে ফেললে। যতবেশি পরিমানে হোক।ভুলে স্ত্রী সহবাস করলে।রোযা অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলেরোযা অবস্থায় চুল,দাড়ি,নখ ইত্যাদি কাটলে।মশা-মাছি, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি অনিচ্ছাকৃত পেটের ভেতর ঢুকে গেলেও রোজা ভাঙবে নাঅনিচ্ছাকৃত বমি হলে, এমনকি মুখ ভরে হলেও রোজা ভাঙবে নাতেমনি বমি মুখে এসে নিজে নিজেই ভেতরে চলে গেলেও রোজা ভাঙবে নাদাঁত থেকে রক্ত বের হয়ে পেটের মধ্যে না গেলে রোজা ভাঙবে নাঅতিরিক্ত গরম বা পিপাসার কারণে যদি গোসলের মাধ্যমে শরীরকে ঠান্ডা করে তাহলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে নাকুলি করার পর পানির অবশিষ্ট আর্দ্রতা থুতুর সঙ্গে গিলে ফেললে রোজার কোনো ক্ষতি হবে নারোজা অবস্থায় আতর বা ফুলের ঘ্রাণ নিলেও কোনো সমস্যা নেই।নিজের থুথু গিলে ফেললে রোযা ভঙ্গ হবে না।শরীর বা মাথায় তেল ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে না, বরং তা বৈধ।অনিচ্ছাকৃত মুখের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকে গেলে রোজা ভাঙবে নারোজা রেখে রোজার দিনে চোখে ওষুধ-সুরমা ইত্যাদি লাগালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।রাতে স্ত্রী সহবাস করলে বা স্বপ্নদোষ হলে সুবহে সাদিকের আগে গোসল করতে না পারলেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। তবে কোনো ওজর ছাড়া (বিশেষত রোজা অবস্থায়) দীর্ঘ সময় অপবিত্র থাকা অনুচিত। এটি মাকরুহ।কামভাবের সঙ্গে কোনো মেয়ের দিকে তাকানোর ফলে কোনো ক্রিয়া-কর্ম ছাড়াই বীর্যপাত হলে রোজা ভাঙবে না। তবে রোজা অবস্থায় স্ত্রীর দিকেও এমন দৃষ্টি দেয়া অনুচিত। আর অপাত্রে কুদৃষ্টি দেয়া তো গোনাহ, যা রোজা অবস্থায় আরও ভয়াবহ। এতে ওই ব্যক্তি রোজার ফজিলত ও বরকত থেকে মাহরুম হয়ে যায়।রোজার দিনে রোজা অবস্থায় স্বপ্নে পানাহার করলে বা কারো স্বপ্নদোষ হলে রোজা ভাঙবে না। তদ্রুপ শরীরের কোন জায়গা থেকে কেটে গেলে, ফোড়া থেকে রক্ত/পূজ বের হলে বা প্রসাবের সঙ্গে রক্ত বের হলে বা যে কোন তরল পদার্থ বের হলে রোজা ভঙ্গ হবে না।কোনো খাদ্যদ্রব্য বুট বা ছোট ছোলার কম পরিমাণ যদি দাঁতের সঙ্গে লেগে থাকে ও গলার ভেতর চলে যায়, তাহলে রোজা ভাঙবে না।যদি রোজাদারের গোসল করার সময় অথবা বৃষ্টিতে ভেজার সময় কানের মধ্যে অনিচ্ছায় পানি চলে যায়, তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে রোজা নষ্ট হবে না।উপরোক্ত কারণে রোজা ভঙ্গ হবে না, মাকরুহও হবে না।
বিস্তারিত পড়ুন

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহঃ শুধুমাত্র কাযা ওয়াজিব হয় যেসব কারণে

Hm Sulayman

১ মার্চ, ২০২৫

যেসমস্ত কারণে রোযা ভেঙ্গে যায় এবং শুধুমাত্র রোযা কাযা করতে হয়ঃ স্ত্রী রাজি না থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক যদি স্বামী সহবাস করে, তাহলে স্ত্রীর রোযা ভেঙ্গে যাবে। কিন্তু তার উপর শুধু পরবর্তীতে কাযা রাখা আবশ্যক হবে কাফফারা দিতে হবে না। কিন্তু স্বামীর উপর কাযা ও কাফফারা উভয়ই আবশ্যক হবে।ইচ্ছা করে মুখ ভরে বমি করাইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরো কিছু খেলে।বমির বেশির ভাগ মুখে আসার পর তা গিলে ফেলামেয়েদের মাসিক ও সন্তান প্রসবের পর নেফাস তথা ঋতুস্রাব হলে।প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্য কিছু শরীরে প্রবেশ করালে।রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।কুলি করার সময় স্বরণ থাকা অবস্থায় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।হস্তমৈথুন করলে রোযা ভেঙ্গে যাবে, কাযা করতে হবে। কাফফারা আসবে না। তবে কঠোর শক্ত গোনাহ এটি।উপরোল্লেখিত কারণে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং শুধুমাত্র প্রতিটি রোযার বিপরীতে একটি করে রোযা কাযা করতে হবে।
বিস্তারিত পড়ুন

রোজা ভঙ্গের কারণসমূহঃ কাযা এবং কাফফারা ওয়াজিব হয় যেসব কারণে

Hm Sulayman

১ মার্চ, ২০২৫

কোন ব্যক্তি রমযানে রোযা রেখে দিনে স্ত্রী সহবাস করলে বীর্যপাত না হলেও স্বামী-স্ত্রী উভয়ের উপর কাযা ও কাফফারা ওয়াজিব হবে।অনুরুপভাবে রোযা রেখে স্বাভাবিক অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে পানাহার করলে কাযা ও কাফফারা উভয়টি জরুরি হবে। উল্লেখ্য যে : পানাহার বলতে এমন জিনিস ভক্ষণ করা, যা দ্বারা পেটের ক্ষুধা নিবারণ হয়, তাই মাটি-ইট ইত্যাদি খেলে রোজা ভঙ্গ হবে, তবে কাফফারা আসবে না। অথবা ব্যক্তি কোন চাহিদা পূরণ বা নেশার কারণে যা কিছু খেয়ে থাকে। তাই বিড়ি-সিগারেট-হুক্কা খেলেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে এবং কাফফারা আসবে। সমকামিতায় লিপ্ত হলে কাযা-কাফফারা দুটিই ওয়াজিব হবে। সুবহে সাদিক হয়ে গেছে জানা সত্ত্বেও আযান শোনা যায়নি বা এখনো ভালোভাবে আলো ছড়ায়নি এ ধরনের ভিত্তিহীন অজুহাতে খানাপিনা করলে বা স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হলে কাযা-কাফফারা দু’টোই ওয়াজিব হবে। স্ত্রীর মুখের থুথু গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে, এবং কাযা-কাফফারা দুটোই ওয়াজিব হবে।ঔষধ খেলে রোযা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা - কাফফারা দুটিও ওয়াজিব হবে।উপরোক্ত কারণে কাযা-কাফফারা দুটিই ওয়াজিব হয়।
বিস্তারিত পড়ুন

সাম্প্রতিক প্রবন্ধ

Hm Sulayman - ১০ মার্চ, ২০২৫

Hm Sulayman - ৭ মার্চ, ২০২৫

Hm Sulayman - ৪ মার্চ, ২০২৫

Hm Sulayman - ৪ মার্চ, ২০২৫

সকল প্রসঙ্গ

© ২০২৫ শরয়ী সমাধান - সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

Facebook Group